আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে ধামের গান শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখে। লক্ষ্মীপূজার পরেরদিন সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামে ৭ দিনব্যাপি শুরু হয়েছে ধামের গান। এ গানে গ্রামে গ্রামে মেতে উঠেছে ধমর্-বর্ণ সকল শ্রেণীর মানুষ। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ ধামের গানের জনপ্রিয়তা এখনও শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে ।
শরতের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দূর্গা উৎসবের পরপরেই লক্ষ্মী ও কালী পূজাঁ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫১টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই যুগ যুগ ধরে আয়োজন করা হচ্ছে ধামের গানের আসর। দিনে ও রাতে এ আসরে ধামের গান উপভোগ করতে আসে শত শত নারী পুরুষ। স্থানীয় আয়োজন কমিটির মাধ্যমে জেলায় এবার ১ শতাধিক গানের আসর বসেছে। ধামের গানের বৈশিষ্ট্য হলো- আঞ্চলিক ভাষায়, রঙ্গ-রসের এবং কিছুকিছু ক্ষেত্রে সামাজিক কাহিনীর মধ্যদিয়ে গান ও অভিনয় করা দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ দেয়া । কোন কোন দল আবার যাত্রাপালার ন্যায় নিজস্ব ঢঙ্গে অভিনয় করে থাকে । আয়োজকরা অভিনয় ও গানের মান-যাচাই করে দল ভিত্তিক ১৫শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানি দিয়ে থাকে। প্রতিটি দল ৭দিনে এক আসর থেকে অন্য আসরে গিয়ে দর্শকদের সামনে তাদের গানের পালা পরিবেশন করে। অভিনেতা ও বাদকসহ ১৫/১৬ জনের একেকটি দল তৈরী হয় । সম্মানী বাবদ যে অর্থ সংগ্রহ হয় পরে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় । এভাবে আবার জনপ্রিয় ও ভাল দল নিয়ে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীদের চুড়ান্ত পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলগুলোকে টেলিভিশন, বাই সাইকেল, গরু-মহিষ, হারমোনিয়াম ইত্যাদি পুরস্কার দেওয়া হয়। এসময় শ্রোতা ও দর্শকরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে একের পর এক পালার গান উপভোগ করতে থাকে। সবচেয়ে বেশী ধামের গান অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আক্চা, মোহম্মদপুর ও রাজাগাঁও ইউনিয়নে। ধামের গানকে কেন্দ্র করে গানের আসর এলাকায় লুচি, পুরি,জিলাপিসহ বিভিন্ন দোকানে বসানোর পাশাপাশি এসময় যেন ধমর্-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় । তবে আয়োজকগন জানিয়েছেন, এখন আর আগের মত বেশি দল পাওয়া যায় না । কারণ শিল্পীদের পরিশ্রম অনুযায়ী তারা সম্মানী পায়না । এজন্য তারা সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগীতার আশা করছে ।
Read More >>
শরতের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দূর্গা উৎসবের পরপরেই লক্ষ্মী ও কালী পূজাঁ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫১টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই যুগ যুগ ধরে আয়োজন করা হচ্ছে ধামের গানের আসর। দিনে ও রাতে এ আসরে ধামের গান উপভোগ করতে আসে শত শত নারী পুরুষ। স্থানীয় আয়োজন কমিটির মাধ্যমে জেলায় এবার ১ শতাধিক গানের আসর বসেছে। ধামের গানের বৈশিষ্ট্য হলো- আঞ্চলিক ভাষায়, রঙ্গ-রসের এবং কিছুকিছু ক্ষেত্রে সামাজিক কাহিনীর মধ্যদিয়ে গান ও অভিনয় করা দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ দেয়া । কোন কোন দল আবার যাত্রাপালার ন্যায় নিজস্ব ঢঙ্গে অভিনয় করে থাকে । আয়োজকরা অভিনয় ও গানের মান-যাচাই করে দল ভিত্তিক ১৫শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানি দিয়ে থাকে। প্রতিটি দল ৭দিনে এক আসর থেকে অন্য আসরে গিয়ে দর্শকদের সামনে তাদের গানের পালা পরিবেশন করে। অভিনেতা ও বাদকসহ ১৫/১৬ জনের একেকটি দল তৈরী হয় । সম্মানী বাবদ যে অর্থ সংগ্রহ হয় পরে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় । এভাবে আবার জনপ্রিয় ও ভাল দল নিয়ে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীদের চুড়ান্ত পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলগুলোকে টেলিভিশন, বাই সাইকেল, গরু-মহিষ, হারমোনিয়াম ইত্যাদি পুরস্কার দেওয়া হয়। এসময় শ্রোতা ও দর্শকরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে একের পর এক পালার গান উপভোগ করতে থাকে। সবচেয়ে বেশী ধামের গান অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আক্চা, মোহম্মদপুর ও রাজাগাঁও ইউনিয়নে। ধামের গানকে কেন্দ্র করে গানের আসর এলাকায় লুচি, পুরি,জিলাপিসহ বিভিন্ন দোকানে বসানোর পাশাপাশি এসময় যেন ধমর্-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় । তবে আয়োজকগন জানিয়েছেন, এখন আর আগের মত বেশি দল পাওয়া যায় না । কারণ শিল্পীদের পরিশ্রম অনুযায়ী তারা সম্মানী পায়না । এজন্য তারা সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগীতার আশা করছে ।